কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস হয়েছে। গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নির্ভর যোগ্য কয়েকটি সুত্র থেকে জানা যায় যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই সারা দেশের অধিকাংশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না, তাদের অনেকেই নানা অভিযোগ মাথায় নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
এমতাবস্থায় উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ গুলোকে সচল রাখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনারকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ বিধি অনুযায়ী যদি কোন চেয়ারম্যান কোন কারণে অনুপস্থিত থাকেন তাহলে ক্রম অনুসারে ১, ২, ৩ নং ইউপি সদস্যদের থেকে একজনকে প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বিটেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া কর্মস্থলে যোগদান না করায় এবং উইদাউট ইনফরমেশন অনুপস্থিত থাকায় তাঁর স্থলে ক্রম অনুসারে ১নং সদস্য হান্নান সাহেবকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত হওয়ায় তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়। পরে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের ১২ জন সদস্য ও একজন সচিব প্রশাসনের নিকট লিখিত আবেদন করেন যাতে ক্রম অনুসারে ২ নং সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমানকে যেন প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। সে হিসেবে গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেন।
এদিকে খায়ের মেম্বার যুবদল নেতা আউয়াল এর সহযোগিতা একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন যাতে হাবিবুর রহমান তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে না পারেন। আরও জানা যায় খায়ের মেম্বার নিজে প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য একটি দরখাস্ত লিখেন এবং ভয় ভীতি দেখীয়ে তাতে ৭ জন সদস্যদের সিগনেচার করিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও একটি সুত্র থেকে জানা যায় হাবিবুর রহমান আগামী রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনি প্রথম অফিস করবেন ঐ দিন থেকেই তাকে কিভাবে বাধা দেওয়া যায় সেই ফন্দি ফিকির আটছেন বলে খবর পাওয়া যায়। এবং আর্থিক লেনদেনেরও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে খায়ের মেম্বার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, “যেহেতু আমি প্যানেলে নাই সেহেতু আমি নিয়ম বহির্ভূত কিছুই করতে চাইনা। আর আমি কাউকেই কোনও চাপ সৃষ্টি করে সিগনেচার করাইনি। আমি প্যানেল চেয়ারম্যান হতে চাই না”।